Saturday, July 28, 2012

চর্যাপদ

সরলীকৃতঃ


১।


রাগ পটমঞ্জরী লুইপাদাং


ভাব না হয়, অভাব না যায়।
এমন বুঝার কে করে প্রত্যয়।।


লুই ভনে বড় দুর্লক্ষ্য বিজ্ঞান।
ত্রিধাতুতে বিলাসে, নাই সন্ধান।।


জানি না যারে বর্ণে, চিহ্নে, রূপে।
ব্যাখ্যা কি হয় তার বেদ-আগমে।।


কাকে কী বলে আমি দিব দিশা।
জলে চাঁদ যেমন সাচা না মিছা।।


লুই ভনে কী আর ভাবিস।
যা নিয়ে আছি তার না আছে দিশ।।


১৪ শ্রাবণ ১৪১৯।


২।


রাগ কামোদ কাহ্নপাদানাং


সহজে চিত্ত সম্পূর্ণ শূন্য।
দেহ বিয়োগে না হইস বিষণ্ণ।।


বল কাহ্নু কোথায় নাই।
ব্যক্ত আছে ত্রিভুবনে সদাই।।


মূঢ় দৃষ্ট নষ্ট দেখি কাতর।
তরঙ্গভঙ্গ কি শুষে সাগর।।


মূর্খ লোকে সত্য না দেখে।
ননী যেমন দেখা যায় না দুধে।।


আসে না যায় না কেউ এসংসারে।
কাহ্নু যোগী বিলাসে এমনিভাবে।।


১৫ শ্রাবণ ১৪১৯।


৩।


রাগ বঙ্গাল ভুসুকুপাদানাং


সহজ এ মহাতরু ব্যাপিত ত্রিভুবনে।
কে না মুক্ত ওরে শূন্য স্বভাবে।।


জল যেমন পানিতে পড়িলে ভেদন না যায়।
তেমনি ওরে মনরত্ন সোমরসে গগনে মিশিয়া যায়।।


যার আপন নাই তার পর আবার হয় কিভাবে।
জন্ম মৃত্যু স্থিতি নাই, সে যে অনুত্পন্ন মূলে।।


ভুসুক নিশ্চিন্তে ভনে, রাউত নিশ্চিন্তে ভনে, সংসারের এস্বভাব
কেউ যায় না, আসে না, না আছে তার ভাবাভাব।।


১৫ শ্রাবণ ১৪১৯। 


৪।


রাগ মল্লারী


মনতরু পাঁচ ইন্দ্র তোর শাখা।
আশারূপ বহু তোর পাতা।।


গুরুবচনে তরু কুঠারে কাটিতে হয়।
কাহ্ন বলে তরু যেন আর না জন্মায়।।


বাড়ে সে তরু শুভাশুভ জলে।
বিদ্বানেরা কাটে গুরুর দোহাইয়ে।।


যে তরুচ্ছেদ ভেদ না জানে।
মূর্খ সে সড়ে পড়ে সংসার মাঝে।।


শূন্য তরুবর গগন কুঠার।
কাট সে তরু মূল না ডাল।।


১৫ শ্রাবণ ১৪১৯।









No comments:

Post a Comment