বিশ শতকের শুরু থেকে আজ অবধি তেল-গ্যাসই সারা দুনিয়ার প্রধান জ্বালানী। পেট্রোলিয়াম পাতন কৌশল ব্যবহারে করে তেল-গ্যাসের আহরণ শুরু হয়। এরপর থেকে বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে এই তেল-গ্যাস।
যন্ত্রসভ্যতার মালিক সমাজের গুটিকতক মানুষ, মুনাফা তাড়িত উন্নয়ন চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে পোলার বিয়ারেরা মৃত্যু, বাঁধের ফলে স্যামন মাছের জীবনচক্রের ব্যাঘাত, নিউক্লিয়ার শক্তির ব্যবহারে অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে। অথচ ফান্ডের জোরে আলাস্কায় বরফ গললেও নতুন করে বরফ তৈরির দু-একটি ঘটনা এমন ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে যে, ‘এসব ভাংগা গড়া তো চলছেই’। উন্নয়নের নামে বিলুপ্ত হয়েছে আমেরিকার আদিবাসিরা। কলোনি করা হয়েছে এশিয়া, আফ্রিকাকে। আমাজনের বন-আদিবাসি, সাইবেরিয়া, ভারতের জঙ্গল ও আদিবাসিরা ১৫-১৭ শতকের আমেরিকার দশায়। তেল-গ্যাস ও অন্যান্য খনিজসম্পদ তুলতে গিয়ে বিপদে পড়ছে প্রকৃতি ও মানুষ । শক্তির চাহিদা বেড়েই চলছে এই মটর সভ্যতায়। জাপানের ফুকুশিমা দুর্ঘটনার পর বিকল্প শক্তি হিসাবে নিউক্লিয়ার শক্তির সম্ভবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে তেল-গ্যাসের প্রতি নজর বাড়ছে আবারও। সরাসরি দখল করা হচ্ছে আফ্রিকার তেল-গ্যাস।
যন্ত্রসভ্যতার মালিক সমাজের গুটিকতক মানুষ, মুনাফা তাড়িত উন্নয়ন চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে পোলার বিয়ারেরা মৃত্যু, বাঁধের ফলে স্যামন মাছের জীবনচক্রের ব্যাঘাত, নিউক্লিয়ার শক্তির ব্যবহারে অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে। অথচ ফান্ডের জোরে আলাস্কায় বরফ গললেও নতুন করে বরফ তৈরির দু-একটি ঘটনা এমন ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে যে, ‘এসব ভাংগা গড়া তো চলছেই’। উন্নয়নের নামে বিলুপ্ত হয়েছে আমেরিকার আদিবাসিরা। কলোনি করা হয়েছে এশিয়া, আফ্রিকাকে। আমাজনের বন-আদিবাসি, সাইবেরিয়া, ভারতের জঙ্গল ও আদিবাসিরা ১৫-১৭ শতকের আমেরিকার দশায়। তেল-গ্যাস ও অন্যান্য খনিজসম্পদ তুলতে গিয়ে বিপদে পড়ছে প্রকৃতি ও মানুষ । শক্তির চাহিদা বেড়েই চলছে এই মটর সভ্যতায়। জাপানের ফুকুশিমা দুর্ঘটনার পর বিকল্প শক্তি হিসাবে নিউক্লিয়ার শক্তির সম্ভবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে তেল-গ্যাসের প্রতি নজর বাড়ছে আবারও। সরাসরি দখল করা হচ্ছে আফ্রিকার তেল-গ্যাস।
গত পঞ্চাশ বছর ধরে বাংলায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন চলছে। বাপেক্স থাকার পরও দেশে এসেছে শেভরন, টাল্লু, কেয়ার্ন, নাইকো, সান্তোস ইত্যাদি কম্পানি। বর্তমানে এই কম্পানিগুলো গ্যাস উৎপাদন করে দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক। এবং দাম নির্ধারণে তারাই প্রধান। কর্পোরেশনের মুনাফা ছাড়া আর কোনকিছুতে তেমন নজর নেই। মাগুরছড়া, টেংরাটিলার পর এবার এসব কম্পানি নামছে বঙ্গোপসাগরে!
বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করছে মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলে। এখন আমরা যে সভ্যতার মুখোমুখি হয়েছি তাতে বিদ্যুৎের ব্যবহারের কোন বিকল্পও মানুষের কল্পজগতের বাইরে! বিদ্যুতের প্রশ্নে আমাদের কতটুকু সচেতন হওয়া উচিৎ তা একটু চোখকান খোলা রাখলেই বোধগম্য। যেটুকু তেল-গ্যাস আমাদের আছে তার সুষ্ঠু ব্যবহার করে বিকল্প শক্তি অথবা জীবনাচারণের সন্ধান আমাদের জন্য সময়ের দাবী। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনদের এধরণের কোন চিন্তাভাবনা তো নেইই, বরঞ্চ ক্ষমতায় থাকার জন্য কর্পোরেশনের তাঁবেদারিতে তারা সদা ব্যস্ত। জীবাশ্ম জ্বালানীর দহনে তৈরী কার্বনডাইঅক্সাইডের ক্ষতিকর প্রভাবে যেসব দেশের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হবে বলে দুনিয়ার তাবদ বিজ্ঞানীরা একমত তাতে বাংলাদেশ হোল এক নম্বর। আমাদের যেখানে নিজেদের অস্তিত্বের তাগিদে পরিবেশবাদী আন্দোলন বেগবান করা উচিৎ আমরা সেখানে ধনী দেশের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু ফাণ্ডের ধান্ধায় ব্যস্ত। এক শতাংশ মানুষের মুনাফালোভী উন্নয়ন তত্ত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে আমরা যেমন অস্বাস্থ্যকর দেশ গড়ে তুলেছি তার ক্রমাবনতি ছাড়া অন্যথা চিন্তা করা যায় না।
বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করছে মাত্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলে। এখন আমরা যে সভ্যতার মুখোমুখি হয়েছি তাতে বিদ্যুৎের ব্যবহারের কোন বিকল্পও মানুষের কল্পজগতের বাইরে! বিদ্যুতের প্রশ্নে আমাদের কতটুকু সচেতন হওয়া উচিৎ তা একটু চোখকান খোলা রাখলেই বোধগম্য। যেটুকু তেল-গ্যাস আমাদের আছে তার সুষ্ঠু ব্যবহার করে বিকল্প শক্তি অথবা জীবনাচারণের সন্ধান আমাদের জন্য সময়ের দাবী। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনদের এধরণের কোন চিন্তাভাবনা তো নেইই, বরঞ্চ ক্ষমতায় থাকার জন্য কর্পোরেশনের তাঁবেদারিতে তারা সদা ব্যস্ত। জীবাশ্ম জ্বালানীর দহনে তৈরী কার্বনডাইঅক্সাইডের ক্ষতিকর প্রভাবে যেসব দেশের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হবে বলে দুনিয়ার তাবদ বিজ্ঞানীরা একমত তাতে বাংলাদেশ হোল এক নম্বর। আমাদের যেখানে নিজেদের অস্তিত্বের তাগিদে পরিবেশবাদী আন্দোলন বেগবান করা উচিৎ আমরা সেখানে ধনী দেশের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু ফাণ্ডের ধান্ধায় ব্যস্ত। এক শতাংশ মানুষের মুনাফালোভী উন্নয়ন তত্ত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে আমরা যেমন অস্বাস্থ্যকর দেশ গড়ে তুলেছি তার ক্রমাবনতি ছাড়া অন্যথা চিন্তা করা যায় না।
মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করে নিজেদের ক্ষমতায়নের চেষ্টা করছে, আরব জাহানে জনগণের যে উত্থান শুরু হয়েছে তা এখন ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ আমেরিকায়। ২০১১ সাল গণমানুষের জাগরণের বছর হিসেবে নজর কেড়েছে সকলের। মা পৃথিবীকে কর্পোরেশনের কড়াল গ্রাস থেকে রক্ষার সংগ্রাম আজকের দিনের বাস্তবতা, নইলে আমরা এক ভয়াবহ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত।
No comments:
Post a Comment